বাস দস্তের এখন বুঝি অনেক আক্ষেপ হচ্ছে! এত কাছে এসেও সুযোগটা এভাবে হাতছাড়া হয়ে গেল!
লিগে সর্বশেষ দুটি ম্যাচে একটাও গোল পাননি স্পোর্টিং ক্লাব
ডি পর্তুগালের (স্পোর্টিং লিসবন) ২৭ বছর বয়সী ডাচ স্ট্রাইকার। ওদিকে
লিওনেল মেসি তাঁর সর্বশেষ দুই ম্যাচ মিলিয়ে গোল করেছেন দুটি। তাতেই সব শেষ!
দস্ত নয়, এবারের ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু জেতা প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে মেসির।
এবার জিতলে এই ‘সোনালি জুতো’টা সবচেয়ে বেশি জয়ের (৪ বার) তালিকায় যৌথভাবে
শীর্ষে উঠবেন মেসি। এই মুহূর্তে তালিকার শীর্ষে থাকা ফুটবলারের নাম তো
অনুমান করতেই পারছেন। কে আবার? ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো!
এখনো অবশ্য কাগজে-কলমে সুযোগ আছে দস্তের। তবে সেটি এতটাই
অসম্ভব যে পুরস্কারটা এখনই মেসির হাতে দেখছেন সবাই। ৩০ ম্যাচে ৩১ গোল
দস্তের, পর্তুগিজ লিগে ম্যাচ পাবেন আর একটি। মেসিরও ম্যাচ বাকি আর একটি,
তাঁর গোল ৩১ ম্যাচে ৩৫টি। অর্থাৎ, মেসিকে পেরিয়ে যেতে লিগের শেষ ম্যাচে
দস্তকে করতে হবে পাঁচটি গোল। প্রায় অসম্ভব কাজটা কোনোমতে করে ফেললেও শেষ
নয়, দস্তকে পাশাপাশি প্রার্থনাও করতে হবে যাতে মেসি শেষ ম্যাচে কোনো গোল না
পান।
না জিতলেও যতটুকু এসেছেন, তাতেই নিজেকে নিয়ে গর্বিত হতে
পারেন দস্ত। চোট, অপ্রয়োজনীয় ম্যাচে বিশ্রাম, আর ফর্মের ওঠানামা মিলিয়ে
রোনালদো এবার একটু পিছিয়ে গেছেন, ২৭ ম্যাচে ২২ গোল পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের।
কিন্তু লুইস সুয়ারেজ, রবার্ট লেভানডফস্কিরা তো ছিলেন। এঁদের সবাইকেই ছাপিয়ে
এবার ‘সোনালি জুতো’র দখল পেতে মেসির সঙ্গে মৌসুমের শেষ পর্যন্ত লড়াই
করেছেন ‘অখ্যাত’ দস্ত।
গোলের হিসাবে মেসি-দস্তের সঙ্গে সমানে সমান টক্কর দিয়ে
গেছেন এডিনসন কাভানিও। পিএসজি স্ট্রাইকারেরও গোল মেসির সমান, ৩৫টি। কিন্তু
গোল্ডেন শুর রেটিংয়ের হিসাবে ফ্রেঞ্চ লিগ একটু পিছিয়ে থাকায় কপাল পুড়েছে
কাভানির। স্পেন ও পর্তুগালের রেটিং পয়েন্ট ২ (ইংল্যান্ড ও জার্মানিরও
তা-ই), কিন্তু ফ্রান্সের ১.৫। যে কারণে ৩৫ গোল করেও কাভানি পুরস্কারের দৌড়ে
সেরা পাঁচেও নেই! মার্কা।
No comments:
Post a Comment