Saturday, May 27, 2017

রোজায় খাবেন, তবে পরিমিত

না বুঝে যা খুশি খেয়ে অনেকে পেটের পীড়ায় ভোগেন। রোজার সময় সঠিক খাদ্যাভ্যাসের অভাবে অনেকে ক্লান্তিতেও ভোগেন। আর তাপমাত্রা তো বেড়েই চলছে।

এবারের ১৫ ঘণ্টার রোজায় স্বাভাবিকভাবেই নিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের বাইরে বাড়তি কিছু সচেতনতা দরকার। একটু নিয়ম মেনে খেলে সুস্থ থাকা সম্ভব।

এই সময় কী খেতে হবে, কীভাবে খেতে হবে, তা জানালেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক শেখ নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, যেহেতু দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকতে হবে, তাই শরীরে পানির ঘাটতি রাখা যাবে না। প্রয়োজন অনুযায়ী যথেষ্ট পানি–জাতীয় খাবার রাখতে হবে খাদ্যতালিকায়।

ইফতারিতে খাওয়ার ব্যাপারে শেখ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ভাজাপোড়া কমাতে হবে। আর বাচ্চাদের তা না দেওয়াই ভালো।
এসব খেতে হলে বাসায় ভালো তেল দিয়ে বানিয়ে খেতে হবে। বাইরেরটা খাওয়া উচিত নয়।’ শরীর ঠান্ডা রাখে, এমন খাবারের ওপর জোর দিলেন নজরুল ইসলাম । ইফতারে তরমুজ রাখা যেতে পারে।

বয়স্ক ব্যক্তিরা দই-চিড়া খেতে পারেন। বাজারে অনেক ফল এসেছে। তবে এই অধ্যাপক বলেন, যে ফলগুলো পাওয়া যাচ্ছে, এর বেশির ভাগই ঠিকমেতা পরিপক্ব হয়নি। আরও ১৫ দিন পরে খাওয়া যেতে পারে।

ভারী কিছু না খেয়ে ঘরে তৈরি লেবুর শরবত ও পর্যাপ্ত ফল দিয়ে ইফতার সারতে হবে। রাতে খেতে হলে খিচুড়ি, ভাত, সবজি, মাছকে প্রাধান্য দেওয়া ভালো। তবে পেট ভরে নয়। এতে ক্লান্তি চলে আসতে পারে। এ সময় খেজুর খাওয়াও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।


সাহরিতে কেউ ভরপেট খান, কেউ আবার একদমই খান না। নজরুল ইসলাম বলেন, খেতে হবে, তবে পরিমিত। খাবারে শর্করার উপস্থিতি অবশ্যই থাকতে হবে। অল্প পরিমাণে মাছ, মাংস বা একটা ডিম ও সবজি থাকা উচিত। আর ডাল খেতে বললেন। দই বা দুধও উপকারী।

প্রথম দু-এক দিন একটু কষ্ট হতে পারে। এরপর শরীর সয়ে নেবে। তবে সঠিক ও পরিমিত খাদ্যাভ্যাসই সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।

No comments:

Post a Comment

page body

১০০ টাকায় এক ব্যাগ সবজি

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি ও ঢাকা মহানগর দোকান মালিক সমিতির উদ্যোগে গতকাল কারওয়ান বাজারে সবজিভর্তি একটি ব্যাগ বিক্রি করা হয় ১০০ টাকায় l ...